Posts

বান্দরবান ভ্রমন গাইড

সবুজ পাহাড়ে মেঘের লুকোচুরি কিম্বা পাহাড়ের মাঝে দিয়ে প্রবাহিত অগভীর নদী, ছোট বড় হরেক রকম ঝর্ণা অার বিকেলের মনমুগ্ধকর পাহাড়ি বাতাসে শরীর জুড়ানোর জন্য পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান-এর জুড়ি মেলা ভার। বর্ষার মৌসুমে মেঘ ছুয়ে দেখার বা খুব কাছ থেকে মেঘ দেখার অানন্দ পেতে পারেন এখানে। বলা যায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘুছানো ট্যুরিজমের ব্যবস্থা রয়েছে বান্দরবানে। দেখার মত স্পটও রয়েছে অনেকগুলো।এখানে কৃত্রিমতা এবং প্রকৃতির এক মিশেল সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ রয়েছে পর্যটকদের জন্য। নীলগিরী নীলাচলের মত কৃত্রিমভাবে সৌন্দয্য বর্ধন করা স্পট যেমন রয়েছে তেমনি বগা লেক, রুমা, রেমাক্রি, জাদিপাই জলপ্রপাত, ঋজুক জলপ্রপাত, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সসহ অনেক স্থান এবং প্রাকৃতিক ঝর্ণা রয়েছে যেগুলোর সৌন্দয্য পর্যটকদের বিমোহিত করে। তবে এই পোস্ট শুধুমাত্র বান্দরবান শহর কেন্দ্রিক (বান্দরবান শহর থেকে সহজে যাতায়াত করা যায় এমন) পর্যটন স্পটগুলো সম্পর্কে বলা হবে। বান্দরবানের গভীরের পর্যটন স্পটগুলো নিয়ে পরবর্তীতে পোস্ট দেওয়া হবে। কিভাবে যাবেন? ------------ সরাসরি: ঢাকা থেকে বান্দরবান সরাসরি এস.

সেন্টমার্টিন ভ্রমনের আদ্যপান্ত

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।বাংলাদেশে মুল ভূ-খণ্ড (টেকনাফের শেষ প্রান্ত) থেকে ৯ কিলোমিটার। সেন্টমার্টিন দ্বীপ অত্যন্ত ছোট একটি দ্বীপ যার অায়তন ৮ বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপটি ছোট হলেও এর অঙ্গে অঙ্গে ছড়িয়ে ছটিয়ে অাছে অপূর্ব রূপ যা কয়েক ঘন্টার ঝটিকা সফরে দেখা সম্ভব নয়। সেন্টমার্টিন-এর সৌন্দয্য পুরোপুরি উপভোগ করতে হলে সময় নিয়ে এবং ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। থাকবেন কোথায়? পুরো সেন্টমার্টিন জুড়েই এখন হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। তবে থাকার বিষয়টি নির্ভর করবে অাপনি কেমন পরিবেশ পছন্দ করে তার উপর।যেমন অাপনি যদি নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন সেক্ষেেত্র অাপনাকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের মাঝামাঝি কোন হোটেল/রির্সোর্টে থাকতে হবে।কিন্তু অাপনি যদি ভীড় অপছন্দ না করেন তবে জেটির অাশেপাশের কোন হোটেল/রিসোর্ট অাপনার জন্য উপযুক্ত। লোকেশনের দিক বিবেচনায় কয়েকটি উত্তম হোটেল হলো- হোটেল সিটিবি, ব্লু-মেরিন, অবকাশ, সমুদ্র বিলাস, লাবিবা ইত্যাদি। থাকা খাওয়ার খরচ কেমন পড়বে? সেন্টমার্টিনে থাকা-খাওয়ার খরচটা নির্ভর করে অাপনার রুচি ও চাহিদার ওপর।

কক্সবাজার ভ্রমন গাইড

কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত। এর দৈর্ঘ্য ১২০ কিমি বলা হয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ পর্যটন কেন্দ্র।বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, মেঘ কালো ঝাউবনের সারি, দিগন্তজোড়া সবুজ পানি, বালুকাময় সৈকতে আছড়ে পড়া পাহাড়সম ঢেউ, সমুদে্রর পানিতে পর্যটকদের জলকেলি, সমুদে্রর মায়াবী গর্জন, পাহাড়ের পেছন থেকে জেগে উঠা সকালের প্রথম সূর্য্য, আর শেষ বিকেলের অস্তগামী সূর্যের মায়াবী রূপ এখানে পর্যটনদেরকে বিমোহিত করে রাখে। অবস্থান চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব ঢাকা থেকে ৪১৪ কিমি। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক এবং বিমানপথে কক্সবাজার যাওয়া। তবে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্রগ্রাম গিয়েও সেখান থেকে সহজেই কক্সবাজার যাওয়া যায়। কোথায় যাবেন? কী কী দেখবেন? কক্সবাজারে দেখার মত অনেকগুলো স্পট রয়েছে। পর্যন্ত তথ্যের অভাবে অনেকেই এসব স্থানের সৌন্দয্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। অাপনার কক্সবাজার ভ্রমনকে সহজতর এবং অধিকতর উপভোগ্য করে তোলার জন্য অামাদের এই অায়োজন। কলাতলী, সুগন্ধ্যা ও লাবনী সৈকত কলাতলী, সুগন্ধ্যা এবং লাবনী সৈকত পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ । স

সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমন

Image
দেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার জেলাধীন একটি অত্যন্ত সুন্দর দ্বীপ, সোনাদিয়া। অায়তনে প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার। এটি কক্সবাজার ঘেঁষে জেগে উঠা দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী-এর অন্তর্গত। কক্সবাজার শহর থেকে মহেশখালী প্রায় ১২ কিলোমিটার। আর মহেশখালী থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সাগরের বুকে এর অবস্থান। মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষে অবস্থিত দ্বীপটি একটি খাল দিয়ে মহেশখালী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কেন যাবেন সোনাদিয়া দ্বীপ? =================== তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সৈকত জুড়ে বালিয়াড়ি, কেয়া-নিশিন্দার ঝোপ, প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি মিলে দ্বীপটিকে করেছে সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। দ্বীপটি পাখিদের জন্য এক টুকরো ভূ-স্বর্গ। দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় বালুকাময় সমুদ্র সৈকতে ঝিনুক ও মুক্তা পাওয়া যায়। দ্বীপের বালিমাটিতে চাষ হয় সুমিস্ট তরমুজ। মহেশখালী থেকে সোনাদিয়া দ্বীপ যাওয়ার পথের দৃশ্য অসম্ভব সুন্দর, যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা চিত্রকর্ম। খালের স্বচ্ছ ও টলটলে পানিতে মনে হয় কাঁচের ওপর দিয়ে চলেছে নৌকা। সমুদ্র থেকে সৃষ্টি হয়ে একটি খাল ভিতরের দিকে গিয়ে কয়েকটি শাখা প্রশাখায় ছড়িয়

সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমন

Image
সাগরকন্যা কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। সাগরের বুকে চিরে কাসার থালার মত উদয় হওয়া অার রক্তিম অাভা ছড়াতে ছড়াতে অস্ত যাওয়া সূর্যের অাকর্ষনে হাজারো পর্যটক প্রতিবছর এখানে ভীড় জমায়। কুয়াকাটা সৈকতের মোট দৈঘ্য ১৮ কিমি দীর্ঘ। কী কী দেখবেন? =========== সৈকত এলাকাঃ সৈকতের কাছেই রয়েছে একটা বৌদ্ধ মন্দির যা আপনার মন কেড়ে নেবে। পাশেই আছে রাখাইন মার্কেট। চাইলে এখান থেকে কেনা-কাটা করতে পারেন।এখানে পাবেন সুন্দর সুন্দর তাঁতের কাজ করা কাপড়। সৈকতের ঝাউবন থেকে কিছু দূরেই রয়েছে নয়নাভিরাম কুয়াকাটা ইকো পার্ক। কুয়াকাটায় অাসা পর্যটকদের মূল অাকর্ষনের একটি হলো সূর্যোদয় দেখা। সূর্যোদয় দেখার উত্তম স্থান সৈকত থেকে কিছুটা দূরে কাউয়ার চর। এখান থেকে সূর্যোদয় দেখার দৃশ্য যে একবার দেখেছে সে কখনো ভুলতে পারবে না। কাউয়ার চরে বোনাস হিসেবে দেখার সুযোগ পাবেন লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটি। কিলোমিটার ১০টাকা হিসেবে বাইক ভাড়া করে সৈকতে বাইক চালাতে পারেন। ট্রলারে করে সাগরের বুকে ঘুরতে যেতে পারেন কিছু সময়ের জন্য। সমুদ্রের পানি যদি গ